Change font size -A A +A ++A
ব্যুরো রিপোর্ট/
ভাগলপুর মানে জার্দালু আম আর কাতার্নি চিড়ে/চাল – কোনো বাঙালি কেন যে কোনো ভাগলপুরবাসীর যে কত প্রিয় সেটার সহজ অনুমান করা যেতে পারে কোনো ভাগলপুরের বাইরের কাউর আখ্যেপ শুনে- যা কত আম হয়েছে এইবার, আহা কি সুন্দর আম খেতে পেলাম না, পোড়া কপাল; কেউ নেই যে পাঠাবে ভাগলপুর থেকে বা কত দিন ওরিজিনাল কাতার্নি চাল চিড়ে খায়নি…..
বলা যেতে পারে যে বিহারের ব্র্যান্ড আম্বাসাড়ার এই জার্দালুর লোভে পাগল পুরো দুনিয়া- সুন্দুর মিস্ঠি, পাতলা খোসা আর মনমাতানো সুন্দুর মিস্ঠি গন্ধের ফলের রাজার এই প্রবেধ শুধু ভাগলপুর এবং ভাগলপুরের দক্ষিন-পশ্চিম লাগোয়া এলাকা তে উত্পন্ন হয়.
আমের সীজেনে ভাগলপুরের আনাচেকানাচে আম এই বার উপচে পড়েছে. ভাগলপুরের জার্দালু আম অন্য বছরের মত এবারো দিল্লীতে মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয় সহিত অন্যনো গন্যমান্যদের কাছে যথারীতি পাঠানো হয়েছে বিহার সরকার এবং ভাগলপুর জেলা প্রশাসনের দ্বারা যৌতুক স্বরূপ.
জার্দালু মহত্ব কিন্তু ক্রমাগত অবনতির দিকে অগ্রসর- যদিও দিল্লীতে সবচাইতে ভালো দেখে প্রতিটা আম পাঠানো হলো কিন্তু প্রশানিক কর্তারা এইবার আম নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ঠ ছিলনা. আম পাঠাবার কথা তাই পাঠালো কিন্তু যেটা পাঠালো সেটা নিয়ে যে সন্তুষ্ঠ হবার কোনো সঠিক কারণ নেই.
জুন এর মাঝামাঝি জার্দালু এবার শেষ হবার মুখে. এবার জার্দালু প্রচুর পরিমানে হয়েছে কিন্তু আমের সে আগের কোয়ালিটি আর আজ নেই, বিশেষ করে জার্দালুর সাইজএর এবার বিশেষ অবনতি দেখা গেছে- আমের ফসল এইবার খুব ছোটো সাইজএর দিকে.
অনুকুল আবহওয়া না থাকায় আজ জার্দালুর এই দুর্দশা- এক কথায় বলছে সকলে বিশেষ করে আম সংকান্ত এক্সপার্ট গণ. বিহার এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, সাবৌর জার্দালুর উপর বিশেষ রিসার্চ করছে এবং জার্দালুর বিশেষ প্রভেদের বিকাশ এর জন্য প্রচেষ্টারত.
ইউনিভার্সিটির আম সংক্রান্ত এক্সপার্ট গণ অনুমান অনুসারে এইবারের প্রচন্ড গরমএর এবং অসময় বর্ষার কারণ জার্দালুর উপর খুবই প্রভাব ফেলেছে যারফলে আমের সাইজও ছোট হয়ে গেছে.
জার্দালুর এই দুর্দশা যে সাংঘাতিক ভাবে আবহওয়া পরিবর্তন হওয়ার জন্য সামনে আসছে সেটা এক গবেষনার বিষয়. ইউনিভার্সিটির আম সংক্রান্ত এক্সপার্ট গণ অনুসারে সংক্রান্ত রিসার্চ এর মাধ্যমে জার্দালুর প্রভেদএর পরিবর্তন মানে আমএর কোয়ালিটি কে এক রেখে আম এর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ফসল কাটার পর আম কে বেশি দিন কি ভাবে ঠিক রাখা যায় তার বাব্যাস্তা করা. এ ছাড়া বিদেশে আজ জার্দালুর চাহিদা খুব বাড়ছে. কিন্তু বাইরে ভারতের আল্ফেন্জো মতো আমের প্রচলন যেহতু খুব বেশি, সেই কারণে জার্দালুর বোটার কাছে লাল ভাবএর বৃদ্ধির সাথে আমের ভেতরের শাসএর পরিবর্তন হলেই এর চাহিদা বেডে যাবে.
অশোক চৌধুরী , প্রগতশীল কৃষক সহ বিহার সরকারের দ্বারা সম্মানিত ‘বিহার শ্রী’ যার আম বাগান থেকে বিগত কিছু বছর যাবত জার্দুলু রাষ্ট্রপতি কাছে দিল্লীতে পাঠান হচ্ছে, অনুসারে মৌসম এর এই পরিবর্তন আজ এক ব্যাপক সমস্যার সৃষ্ঠি করেছে. “ যদি কিছু না করা হয় তবে জার্দালুর আস্তিত্য কি থাকবে সেটা বলা কঠিন,” চৌধুরী বোলেন.
এই পরিস্থিতে সাবৌর ইউনিভার্সিটি এখন জার্দালু প্রেমীদের কাছে এক মাত্র ভরসা- সংক্রান্ত বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণারত যে কি ভাবেই জার্দালুর ইজ্জত বাঁচান যেতে পারে!
Leave a Reply