Change font size -A A +A ++A

জে.এল. এন .এম . কলেজ হাসপাতাল, ভাগলপুরে সম্প্রতি সম্বর্ধনা জানানো হয় বাঙালি সমিতি কে.
ব্যুরো রিপোর্ট/
সঞ্জীব, এক গরিব ড্রাইভার কে নিজের বৌএ জন্য এক বোতল রক্ত যোগার করতে যে কি পরিমানে নাজেহাল হতে হয়েছিল তা বলবার মত নয়. স্থানীয় জে. এল. এন. মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ব্লাড ব্যাঙ্কএর সামনে অসহায় হয়ে ছটফট করা ছাড়া কি আর করতে পারত সঞ্জীব?
ঘটনা চক্রে সঞ্জীব এর পরিচত স্থানীয় এক ব্যাঙ্ককর্মীর সাথে দেখা হয়েযাওয়াতে, সঞ্জীব নিজের স্ত্রীর জীবন বাঁচাবার শেষ সন্ধান খুঁজে পেল. সে ওই ব্যাঙ্ককর্মীর পরামর্শে বিহার বাঙ্গালী এসোসিয়েশন (বি বি এ ), ভাগলপুর শাখার, চলতি ভাষায় বাঙালি সমিতির , কিছু মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করে শেষে এক বোতল রক্ত যোগার করে নিজের স্ত্রীর জীবন বাঁচিয়ে নিতে পেরেছিল. এই রখম ঘটনা আকছার্ শোনা যায় আজকাল আর বিপদের সন্মুখীন যে কেউ রক্ত যোগার করার জন্য বাঙালি সামিতির শরনাপন্ন হয় এখানে.
একা সঞ্জীবএর নয়, বাঙালি সমিতি আজ এখানে অনেকের ভরসা হয়ে উঠেছে বিশেষ করে সংকটে রক্ত যোগার করে জীবন বাঁচাবার জন্য. সাহিয়্তিক গাতিবিধির কেন্দ্র রূপে অতীতের ভাগলপুর আজ এক নাম পরিচয়হীন তুচ্ছ শহরে পরিবর্তিত হয়ে গেছে. বাঙালির পলায়ন এই শহরের জন্য এক অভিশাপ আর অতীতের কিছু রূপগন্ধহীন বাড়িঘর প্রতিমুহর্তে বাঙালির বার্থতাকে কে আঙ্গুল তুলে দেকাচ্ছে.
ঠিক এই সময়ে যদি কিছু সাহসী বাঙালি যুবক দ্বারা কিছু নতুন করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসা ভাগলপুরের জন্য সত্যি এক নতুন যুগের সূচনা. ভাগলপুর ছেড়েচলে গেছে এমন অনেক বাঙালি এখন যদি সত্যি কিছু আশা করে তাহলে সেটা হলো এখানকার বাঙালি সমিতির কার্যকলাপ. বাঙালি সমিতি সময়ে সময়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে আজ পুরো রাজ্যে খুবই চর্চিত সংস্থান হয়ে উঠেছে.
সম্প্রতি জে. এল. এন. এম. কলেজ হাসপাতাল দ্বারা রক্তদান কে উত্সাহিত করার জন্য এক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয় যাতে বাঙালি সমিতি কে সম্বর্ধনা জানানো হয়. বাঙালি সমিতির মত আরো অন্য সমিতিদের ও সম্বর্ধনা দেওয়া হয়.
সবচাইতে বড় ব্যপার হলো যে সীমিত সাধনের মাধ্যমে কাজ করে বাঙালি সমিতি এই অনুষ্ঠানে সেকেন্ড স্থান প্রাপ্তি করে (121 ইউনিট রক্ত সংগ্রহ) যখন সব দিক থেকে সুসম্পন্ন তথা ক্ষমতাবান তেরাপান্থ যুবক সংঘ, ক্ষমতাবান জৈন সমুদায়ের সংঘটন, থাকে প্রথম স্থানে (140 ইউনিট রক্ত সংগ্রহ) . বাঙালি সমিতির তেইশ জানুয়ারী নেতাজি সুভাষ এর নামে রক্তদান শিবিরে রেকর্ড ব্লাড ডোনারদের ভিড়, কি মহিলা, কি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে কি সাধারন নাগরিক, বেশিরভাগ অবাঙালি, দেখে সহজে অনুমান করা যেতে পারে যে এই মহত কাজ সাধারান লোকেদের মাঝে কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে. অমিতা মৈত্র, নিরুপমকান্তি পাল, উত্তম দেবনাথ, জয়্জিত ঘোষ ছাড়া আরো অনেকে এই বাঙালি সমিতির হাল হাতে নিয়ে রক্তদানের সংকল্প নিয়ে যদি ভাগলপুরের হারানো গৌরব কে ফেরত আনার চেষ্টা করে তো তাতে ক্ষতি কি ?
Leave a Reply