Change font size  -A  A  +A  ++A

বিহার বাঙালি সমিতির নতুন ভাগলপুর শাখার নির্বাচিত সদস্যগণ.


শুধু দেখাবার জন্য নয়, কাজ করার জন্য বাঙালি সমিতির নতুন কমিটিকে কোমর বেঁধে লড়াই এর মাঠে নামতে হবে !

@news5pm

July 10th, 2017

ব্যুরো রিপোর্ট/

এবার প্রথম দিনেই  কিছু চেলেঞ্জ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়ে বিহার বাঙালি সমিতি, ভাগলপুর শাখার নতুন নির্বাচত বডির কার্যসূচী তৈরী হয়. সমিতিতে বেশিরভাগ নতুন চেহরা, চেহারা গুলো খুব পরিচিত শহরে; বিশেষ করে কোনো অপ্রিয় ঘটনা বা বিশেষ কিছু পরিস্হিতি উত্পন্ন হলে এই চেহারা গুলো কে দেখা যায় কি ভাবে এরা ভলান্টারী সেবা দিকে তত্পর হয়ে যায়.

দুর্গা চারণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে গতকাল সন্ধায় বিহার বাঙালি সমিতি ভাগলপুর শাখার জি.বি. বৈঠক সম্পন্ন হয়. উপস্থিত ছিলেন শহরের বেশ কিছু পুরুষ মহিলা. এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি সমিতির সেন্ট্রাল কমিটির বিশিষ্ঠ প্রাতিনিধী, ফাল্গুনী বাবু যার উপস্থিতিতে ড. রত্না মুখার্জী (প্রেসিডেন্ট) এবং জয়জীত (বাপী) ঘোষ (সেক্রেটারি) নেত্রিত্ব্যে নতুন কমিটি গঠিত হয়. বিদায় জানান হয় ড. অমিতা মোইত্রা এবং নিরুপম কান্তি পালের পুরাতন কমিটি কে.

নিবর্তমান প্রেসিডেন্ট, অমিতা মৈত্রা এবং নতুন প্রেসিডেন্ট রত্না মুখার্জী.

সভাতে তর্ক বিতর্ক হয় তবে সেটা গনত্রান্তিক সেট আপএর মধ্যের ছিল. সবচায়িতে মজার বিষয় যেটা সভার সামনে প্রকাশ পায় সেটা হল নিবর্তমান সমিতির তরফ থেকে দুই দুর্গাচরণ স্কুল, ভাগলপুর ইনস্টিটিউট বা বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর মত  ভাগলপুরের  প্রাচীন বাঙালিদের সংস্থান গুলোর সাথে আজ অব্দি সমিতির দ্বারা কোনো  কোঅর্ডিনেশন করার চেষ্টা করা হয় নাই. যদিও প্রতিটা সংস্থান এক মাদার বডি, বিহার মাইনেরটি এডুকেশন সোসাইটি (রেজিস্টার্ড) দ্বারা সংচালিত (পরিষদ এর বাইরে) কিন্তু যখন সমগ্র  বাঙালির স্বার্থ জড়িত, সেই ক্ষেত্রে এইরূপ প্রচেষ্টা না হওয়া ন্যায় সংগত নয়.

নিরুপম্ কান্তি পাল কে বিদায় জানান নতুন সভাপতি জয়জীত ঘোষ.

 

পুরনো সমিতির কিছু সদস্যের অনুসারে সকলে নিজের নিজে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ কিন্তু তাদের কাছে কোনো উত্তর ছিলনা যে কেন এই প্রচেষ্টা নেওয়া হয় নাই বা নিলে কি ক্ষতি হতো? কর্মকর্তাদের মনোভাব খুব সহজে অনুমান করা যেতে পারে যখন ভাগলপুরে বাঙালি সংক্রান্ত কোনো ব্যপারের কর্মঠ এবং আগ্রহী ব্যক্তি রূপে পরিচিত সঞ্জয় সর্বাধিকারী মহাশয় সভা চলাকালীন অযথা চেচামিছি শুরু করেন. ড. রত্না মুখার্জী যিনি সম্প্রতি বিহার মাইনেরটি এডুকেশন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, কে সমিতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা তে. সঞ্জয় বাবুর ব্যক্তব ছিলো যে ড. মুখার্জী কে সমিতি তে নিলে সোসাইটির কাজ লাটে উঠে যাবে. বোধহয় সঞ্জয় বাবু ভুলে গিয়েছিলন যে এই সব ইন্ডিভিজুয়াল বডিগুলো বাঙালিদের স্বার্থে কাজ করে, এতদিন এই কোঅর্ডিনেশন না থাকার জন্য এই সংস্থাগুলো আজ জবুথবু হয়ে পড়ে আছে. “এই সংস্থা আমার বাবার বা ওটা  অমুকের বাবার এই মনোভাব এবার ছাড়তে হবে, মনে রাখতে হবে যে প্রতিটা সংস্থান কেবল বাঙালিদের এবং সকাল কে মিলেমিশে এগোনর সময় এবার এসেছে,” কিছু মন্ত্যব্য আসে দর্শক দীর্ঘা থেকে.

নব নির্বাচিত সেক্রেটারি জয়জীত ঘোষ ‘সব বাঙালি কে নিয়ে চলার’ কথা বোলেন যেটা সম্প্রতি এক কঠিন কাজ. ভাগলপুরের বাঙালিরা দল উপদলে বিভক্ত কিন্তু কেবল মানুষের আপদে বিপদে এরা সম্মলিত ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে. দরকার আজ সকলেরে এক হয়ে এগিয়ে আসার. প্রসঙ্গক্রমে, এই জয়জীত দের চেষ্টাতে 80-90 দশকে মৃত হয়ে পড়ে থাকা ভাগলপুরের বাঙালি সমিতির ব্রান্চ কে জীবিত করা হয়. শধু তাই নয়, এরা বাঙালিদের শবদেহের সতকরারের কিছু প্রচলিত ( সমাজের কিছু কলার উচু করা যুবক দের পরিকল্পিত)ভ্রান্ত এবং জবরদস্তি নিয়ম কনুন আমূলে বদল করে এক সুস্থ পরিবেশ তৈরী করতে সফল হয়. “বেশির ভাগ যদিও আমাদের মধ্যে নতুন চেহরা, তবে আমরা মনে করি আমরা কিছু করতে পারব. আমাদের মধ্যের কিছু ক্ষমতাবান এবং এক্সপেরিয়েন্স সদস্যের সহযোগে আমারে ক্রিয়েটিভ কাজ করবো,” নতুন কমিটির গনেশ রায় উসাহিত হয়ে বলেন.

বাঙালিদের সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া, ঐতিহাসিক হেরিটেজ বিল্ডিং, সুস্থ ভাবে বাঙালিদের সংস্থান গুলোর সঞ্চালন না হওয়া, পরিতাক্ত (সন্তান দ্বারা বা অন্য কিছু  কারণে) বয়স্ক মানুষদের দেখাশুনা এবং সবচায়িতে স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যে একতা  এবং সংহতি কি ভাবে স্থাপনা করা যেতে পারে সেটা এই নতুন কমিটির সব চাইতে প্রাথমিক কাজ হবে, সমিতির সুত্র থেকে জানা গেছে. পদভার গ্রহন করেই সমিতি সম্প্রতি ঘটিত ড. গীতা মজুমদার প্রকরণ হাতে নিয়ে কাজে নেমে পড়েছে. এছাড়া দুস্থ বা অপরক ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা জন্য আর্থিক সাহায্য করার নির্ণয় নেওয়া ও হয়. এক দুস্থ বাঙালি মা তার ছেলে যে সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ করে উঠেছে, সমিতির কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়াতে, সমিতি ছেলেটির জন্য ধন সংগ্রহ করার নির্ণয় নেয়. নিউস 5 পী এম এর তরফ থেকে এই নতুন সমিতির জন্য বেস্ট অফ লাক রইলো!


1 Comment

  1. Rajeev Banerjee says:

    খুবই আশাব্যঞ্জক আলেখ. কিছু তথ্যগত ত্রুটি (ড০ রত্না মুখার্জী দুর্গাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় কমিটির অধ্যক্ষ, বি০এম০ই০এস০ এর নয় এবং ভাগলপুর ইংস্টিচ্যুট এ গোড়া থেকেই বাঙালীদের মালিকানা হক বলতে কিছু নেই, জমিটা বাঙালীর দ্বারা দান করা হয়েছিল ঠিকই তবে প্রথম থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠির মানুষের যৌথ সম্পত্তি হিসাবেই ক্লাবটির পরিচালন হয়ে এসেছে) ছাড়া লেখাটিতে ভাগলপুরের বহুসংখ্যক বাঙালীদের আশা-আকাঙ্খা নির্ভেজাল ভাবে ভাষা পেয়েছে বলে মনে হয়. ভাগলপুরের বাঙালী সমাজের যেটা সবথেকে বেশী প্রয়োজন বলে মনে করি তা হচ্ছে নেতিবাচকতা সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দিয়ে ইতিবাচক ভাব ও কার্য্যপ্রণালী অবলম্বন করা এবং নিজেদের মধ্যে যে কোন রকম সংঘর্ষ সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা. “সংহতি ও সমন্বয়” এর উচ্চাদর্শ মাথায় রেখে নতুন কমিটি নিশ্চয়ই তাতে সফল হবে তাতে সন্দেহ নেই, কারণ এ ছাড়া গতি নেই.

Leave a Reply

Your email address will not be published.