Change font size  -A  A  +A  ++A

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ , ভাগলপুর শাখা .


ভাগলপুরে লাইব্রেরি কে বাঁচাতে হলে রবীন্দ্রনাথের ভাষার “আমাদের মনে প্রাণে সকলকে বাঙালি হয়ে …..” এক হয়ে এগিয়ে আসা ছাড়া কোনো উপায় নেই !

@news5pm

July 23rd, 2017

ব্যুরো রিপোর্ট/

বিখ্যাত ঐতিহাসিক উক্তি “ সেলুকাশ সত্যি কি বিচিত্র এ দেশ…..” নিশ্চয় মনে আছে আমাদের সকলের.

এই বিখ্যাত উক্তি কিন্তু নানা অর্থে ভাগলপুরের বাঙালিদের জন্য সঠিক ভাবে লাগু করা যেতে পারে. বড় উতলা এ জাত – স্থানীয় এক হিন্দি নিউস পেপারে (ভাগলপুরের বাঙালি নিয়ে সিরিজ চালাচ্ছে) সম্প্রতি আদমপুর স্থিত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কে নিয়ে এক আর্টিকেল বের করে. ব্যাস ফেস বুক ইত্যাদি তে চারিদিক থেকে শুরু হয়ে যায় হই হই রব, সকলে প্রায় নড়ে চড়ে উঠেন আর শুরু হয় ফেস বুকে নানান মন্তব্য . অবাল বৃধ্য বনিতা সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানান কমেন্ট পোস্ট করতে.

ফেস বুক কমেন্ট এর ঘটা দেখে যে কেউ মনে করতে পারে যে এখানকার সুধীবৃন্দ কত উদার, আপাতত এই বাঙালিদের লাইব্রেরির জন্য আর সম্প্রতি এর এই দূর্দশা (যেটা ঐ নিউস পেপারে বর্ণিত হয়েছে)জন্য ওনারা কতটা বিকুলিত!

ঘটনাচক্রে ফেস বুক কমেন্ট করার মধ্যে এমন অনকেই আছেন যাদের এই লাইব্রেরির সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা নেই এবং এনারা লাইব্রেরিতে না তো যান আর না তো লাইব্রেরির বইপত্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে! কিন্তু এ কথা সত্যি বিনা বাধায় মানতে হবে যে আজকের ফাস্ট কমিউনিকেশন এর যুগে লাইব্রেরির জন্য সকলের এই রূপ উদ্বেগ প্রকাশ করাটা অসাধারণ এক ঘটনা অত্যন্ত ভাগলপুরের জন্য! (ভাগলপুরের বাইরে প্রাপ্তন শহরের বাসিন্দারাও কমেন্ট করেন)

ভাগলপুরের বাঙালি কথা বলতে অনেক আগে, তবে শুধু যদি জুটি বেধে এগিয়ে আসে তবে কেল্লা ফতে হতে দেরী হবে না. ফেসবুকে নয়, এগিয়ে আসতে হবে বাঙালিদের এই প্রাচীন গৌরবের নিদর্শন বাঁচাবার জন্য. মনে রাখা জরুরি যে কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ সম্পূর্ণ বাংলার বাইরে ভাগলপুর কেই নির্বাচিত করেছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের শাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকারের বঙ্গ ভঙ্গ এর বিরোধে. ব্রিটিশ অখন্ড বাঙ্গালার ভৌগলিক বিভাজন করে বাঙালির শক্তি কম করার জন্য কিন্তু কবি গুরু বাঙালি ভাষা, কালচার এবং সাহিত্যিকে আরো শক্তিশালী করার উদেশ্যে বাংলার বাইরে ভাগলপুরে এই শাখার প্রতিষ্টা করেন 1905. দুর্ভাগক্রামে আজ ভাগলপুরের বাঙালিদের উপেখ্যা এবং অসহযোগিতার কারণে মৃতপ্রায় হয়ে উঠেছে অতীতের এই স্মৃতি.

কিছু বছর আগে অব্দি কিছু কিছু বিশেষ অবসরে, ২৫ শে বৈশাখ ইত্যাদি তে লাইব্রেরিতে জনসমাগমের মধ্যে পালিত হতো বিশেষ অনুষ্ঠান, যার চলন আজ উঠে গিয়েছে. লাইব্রেরিতে লোক সংখা ও কমে গিয়েছে. সম্প্র্রতি অঞ্জন ভাত্তাচ্যার্জ লাইব্রেরির সভাপতি আসন গ্রহন করার পর, পুরানো দিনগুলো কে ফেরাবার ফের থেকে চেষ্টা শুরু করা হয়েছে. “লোক নেই, কেউ আসে না তাতে কি আমরা নিজেরা লাইব্রেরিতে গানবাজনার রিহার্সাল করছি, গেটটুগেদার করছি. এছাড়া সম্প্রতি দুর্গাবারিতে এক অনুষ্টান করাও হোয়েগিয়াছে,” সুজয় সর্বাধিকারী জানান.

“নিজেদের মধ্যে বিদ্যেষ যাকে চলতি ভাষায় খেওখেই বলা হয়, আমাদের ছাড়তে হবে অন্তত্ব বাঙালিদের এই মৃত সস্থানগুলো কে জীবিত রাখার কারণে. আমাদের মনে রাখা দরকার যে এই রেশমী শহর থেকে বহু বাঙালি বিভিন্ন স্থানে নিজেদের প্রতিষ্টিত কোরেছেন. আমাদের এই নতুন কমিটি আলরেডি যৌথ প্রচেষ্টাতে কি ভাবে সকলকে ইউনাইটেড করতে পারা যায় তার চেষ্টা আরম্ভ করেছে,” জানান জয়জীত ঘোষ, বিহার বাঙালি সমিতির ভাগলপুর শাখার সেক্রেটারি.

বলে রাখা উচিত যে আজ অব্দি ভাগলপুরের বাঙালি সংস্থ্যানগুলোর সাথে এই শাখা কোন রখমের কোঅর্ডিনেশন রাখার উদ্যোগ নেয়নি যার ফল আজ একে অপরের থেকে দূর থেকে দুরে সোরে গেছে.

“ ও অমুক দাদা আপনার ফেস বুকে  কমেন্টটা খুব ভালো তবে আপনি আসুন না সময় করে লাইব্রেরিতে, রোজ না হলেও চলবে, তবে এক দিন সপ্তহে আসুন না,” মিনি মার্কেটের মাছ বাজারে দূই বাঙালির কথপোকথন মনে আশার সঞ্চয় যোগায়.

কিছু যুবকদের অনুসারে ফের থেকে অনুষ্ঠান, রোজ আড্ডা, কিছু কিছু ঘরোয়া অনুষ্ঠান ইত্যাদি শুরু করার একান্ত প্রয়োজন এই লাইব্রেরিতে বা এর সংলগ্ন মাঠে.

এই লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠানের সময় রবীন্দ্রনাথ যে রূপ বলেছিলেন “ আমাদের মনে প্রাণে সকলকে বাঙালি হয়ে  …..” সেইরূপ আজ ভাগলপুরের বাঙালিদের মনে প্রাণে এক হয়ে এগিয়ে আসতে হবে নিজেদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি চিহ্নগুলো কে বাঁচাবার জন্য !


1 Comment

  1. Rajeev Banerjee says:

    আলেখে উল্লিখিত ফেসবুক কমেন্টের মতই লেখাটি গম্ভীরতার সহিত লেখা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে. বলা সহজ, করা বরাবরই কঠিন. শ্রী অঞ্জন ভট্টাচার্য্য পরিষৎ এর সচিব, অধ্যক্ষ ডা০ বিশ্বপতি চ্যাটার্জী. কিছু যদি সত্যিই করতে হয়, পরিষৎ এর একটা লিখিত বাই-লজ় বানানো সর্বাগ্রে দরকার এবং আজীবন সদস্যতা দেওয়া যে বন্ধ রাখা হয়েছে তা চালু করার ব্যাবস্থা করা উচিৎ. আপাতত ‘মনে-প্রাণে’ শুধু স্বার্থ-সিদ্ধির প্রচলনই আছে, সমাজকার্য্যে হলে অনেকদিকেই সুরাহা হয়. ইতিবাচক লেখার যন্য লেখক সাধুবাদের পাত্র.

Leave a Reply

Your email address will not be published.